সিঙ্গুরে টাটা প্রোজেক্ট এলাকা থেকে পাইপ চুরির চেষ্টা , আটকে দিলেন এলাকাবাসীরা

8th July 2020 11:29 am হুগলী
সিঙ্গুরে টাটা প্রোজেক্ট এলাকা থেকে পাইপ চুরির চেষ্টা , আটকে দিলেন এলাকাবাসীরা


নিজস্ব সংবাদদাতা( হুগলী ) :  অনেকদিন আগেই টাটা বিদায় নিয়েছে সিঙ্গুর থেকে। কিন্তু তাদের ফেলে যাওয়া জল নিকাশির বড় বড় পাইপ চুরি হয়ে যাচ্ছে দিনে দুপুরে বলে অভিযোগ করছিল গ্রামবাসীরা । অভিযোগ হেলদোল নেই প্রশাসনের।  সিঙ্গুর প্রকল্প এলাকার ভিতর থেকে টাটা কারখানার পরিত‍্যক্ত পাইপ চুরী রুখলো গ্ৰামবাসীরা। ২ নং জাতীয় সড়কের পাশে বেড়াবেড়ি মৌজা এলাকায় ঘটনাস্থল থেকে একটি ট‍্যাক্টর ও একটি পে লোডার আটক করেছে সিঙ্গুর থানার পুলিশ। সুপ্রিম কর্টোর রায়ে বর্তমান সরকার টাটা কারখানা ভেঙে কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেয়া হয়।  কারখানা চত্বর জুড়ে মাটির নিচে কয়েক হাজার বড়ো বড়ো পাইপ পোঁতা ছিল, যা তুলে জমির ধারে এখনো রাখা আছে। গ্ৰামবাসীদের অভিযোগ, সেই পাইপ দীর্ঘদিন ধরে চুরি হয়ে যাচ্ছিল বিনা টেন্ডারে।  পাইপ চুরি হওয়ার খবর পেয়ে গ্ৰামবাসীরা এসে হাত নাতে ধরে ফেলে। সিঙ্গুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে একটি ট‍্যাক্টর ও একটি  পে লোডার আটক করে নিয়ে যায় থানায়। সিঙ্গুর ব্লক তৃনমুল কংগ্ৰেসে সভাপতি মহাদেব দাস জানান, সরকারী জিনিস অনেক দিন ধরে মাফিয়ারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। আজ তাদের হাতে নাতে ধরে গ্ৰামবাসীরা। পুলিশকে বলা হয়েছে বিষয়টা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব‍্যবস্থা নিতে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে গাড়ি গুলো কি উদ্দ‍্যেশে ওখানে জড়ো হয়েছিল। হুগলি জেলা বিজেপি সহ সভাপতি সঞ্জয় পাণ্ডের অভিযোগ, সিঙ্গুরে শিল্প কে ধ্বংস করে টাটা কে তাড়ানোর পর, প্রকল্প এলাকা থেকে শাসকদলের একাংশ জলনিকাশির বড় বড় পাইপ চুরি করে বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে সিঙ্গুর থানার পুলিশ। 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।